হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন। আপনাদেরকে আবারো এ সাইটে স্বাগতম জানাই। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে স্মার্টফোন দীর্ঘদিন ব্যবহার করার কৌশল নিয়ে আলোচনা করবো।
স্মার্টফোন কিভাবে লাইফ টাইম ব্যবহার করা যায়
প্রথমেই আমরা সাধারণ বিষয় নিয়ে কথা বলি। আমরা সকলেই যানি ফোন টি হাত থেকে পড়ে গেলে সেটা ভেঙে যায় বা ফোন টির অনেক ক্ষতি হয় বা ফোন টি শেষ । বিশেষ করে, ডিসপ্লে ভেঙে যায়, ইন্টারন্যাল ডেমেজ হতে পারে। তো প্রথমেই আপনি যে বিষয় খেয়াল রাখবেন সেটা হলো ফোন টি হাত থেকে বা যেকোনো যায়গা থেকে যাতে পড়ে না যায় সেই বিষয় টি খেয়াল রাখতে হবে। তো এই ক্ষেত্রে আমার সাজেস্ট থাকবে আপনি ফোনে একটি কাভার বা ব্যাক – কাভার ব্যবহার করবেন। এতে আপনার ফোনের একটু সিকিউরিটি ও থাকবে।
এছাড়াও ফোনের ডিসপ্লে এর উপরে একটি ডিসপ্লে প্রটেক্টর ব্যবহার করবেন। এতে আপনার ফোনের ডিসপ্লে ও একটু সিকিউরিটি থাকবে। তো এগুলো ছিলো বেসিক বিষয়, তো চলুন এবার কথা বলা যাক মেইন বিষয় গুলো নিয়ে।
ধুলো – ময়লা থেকে বাঁচার উপায়
আমাদের এন্ড্রয়েড ফোনের সব থেকে বড় শত্রু হলো ধুলো – ময়লা। ফোন টি দীর্ঘ দিন ব্যবহার করার পর দেখি যে আমরা ফোনের চার্জিং পোর্টে ধুলো ময়লা জমে থাকে। যার ফলে ফোন টি তে চার্জিং এ সমস্যা হয়। তাই কিছু দিন পর পর ফোন চার্জ দেওয়ার আগে অবশ্যই ফোনের চার্জিং পোর্টে একবার বা ২ – ৩ বা ফুঁ দিবেন। এতে ধুলো ময়লা গুলো বের হয়ে যাবে। আবার আরেকটি বিষয় হলো আমাদের ফোনের ক্যামেরা। অনেক সময় আমাদের ফোনের ক্যামেরা এর লেন্সের উপরের প্লাস্টিক কাভারে ময়লা জমে বা স্ক্র্যাচ পরে যায়। এর ফলে আমরা যারা ছবি তুলতে ভালো বাসি তাদের একটু হলেও সমস্যায় পড়তে হয়।
তাই আপনি কিছু দিন পর পর আপনার ফোনের ক্যামেরা বা ফোনের সব যায়গায় একটু সাবধানতার সাথে ক্লিন করে নিবেন। আর যদি পারেন তাহলে সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে ফোন টি ক্লিন করতে পারেন। বা যদি চান তো আপনি নিজেই ফোনটি ক্লিন করতে পারেন। তবে একটু খেয়াল করবেন, কোনো ভাবেই ডাইরেক্টলি ফোনের ক্যামেরায় কোনো প্রকার ক্যামিক্যাল বা পানি স্প্রে করবেন না। সেটা যতই ভালো কোম্পানির ফোন হোক না কেনো। আইফোন হলেও সেটা কখনো করবেন না।
গরম – ঠান্ডা – পানি
তো এবার যেটা বলবো সেটা হলো আবহাওয়া নিয়ে। আপনার ফোন টি কে কখনো গরম, ঠান্ডা তে রাখবে না। এবং পানি থেকে তো ফোন কে যত দূরে সম্ভব রাখার ট্রাই করবেন। ফোনের সব থেকে বড় শত্রু হলো হিট (গরম) আর পেছনের রেয়ারের দিকে ঠান্ডা হলে সেটা ফোনের বড় একটি ক্ষতি সাধন করবে।
আপনারা হয়তো ভাবছেন এটা শুধু ব্যাটারির সমস্যা। না এটা শুধু ব্যাটারি সমস্যা না, মাদারবোর্ড এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্যাল যায়গায় সমস্যা হতে পারে হিট (গরম) এবং ঠান্ডা থেকে।
অনেক সময় আমরা ফোন চার্জ দিয়ে গেম খেলি। বা রোদে দাঁড়িয়ে গেম খেলি। ভাবি এতে আর কি হবে? এই কি হবে টা অনেক বড় একটি সমস্যা। এতে আমাদের ফোন টি কিন্তু অনেক গরম হয়ে যায়। বিষয় টি খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই। এর ফলে কিন্তু আপনার ফোনের অনেক সমস্যা হতে পারে, অনেক যায়গায় আগের তুলনায় আপনার ফোনের পারফরম্যান্স কমে যায়। এতে আপনার ফোন দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ব্যাটারি ভালো রাখার উপায়
ফোনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস টি হলো ব্যাটারি। অনেকের ফোন বেশিক্ষন ব্যবহার না করলেও ফোনের চার্জ তাড়াতাড়ি খরচ হয়। আবার ফোন ব্যবহার না করলেও চার্জ শেষ হয়। এটা হলো ব্যাটারির সমস্যা। তো এই সমস্যা মানে ব্যাটারি সমস্যা থেকে বাচার থেকে কিছু উপায় আপনাদের বলবো।
প্রথমেই আমি যেটা বলবো সেটা হলো ফোন টি তে আপনি ফোনে আপনার ফোনের মেইন চার্জার ব্যাবহার করবেন। তবে মনে রাখবেন, ফোনের মেইন চার্জার ব্যবহার করছেন কিন্তু তার সাথে সস্তা একটি চার্জার ক্যাবল ব্যবহার করছেন। তাহলে এটা একটি বড় ভুল। কেননা ফোন কোম্পানি এখন যে ভাবে ফোন গুলোর চার্জার বানিয়ে থাকে তাতে, আপনার ফোনের চার্জিং এর জন্য সেই মেইন চার্জার টাই যথেষ্ট এবং সেভ। কিন্তু অন্য চার্জার ব্যবহার করলে, আপনার ফোনের একটি সমস্যা হতে পারে।
আপনি যদি রাতে ফোন চার্জ দিয়ে ঘুমান, সেটা কিন্তু আপনার সব থেকে বড় ভুল ধারণা। এতে করে কি হয়? ফোনে যখন ১০০% চার্জ হয়ে যায় তখন চার্জ নেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ফোনের অন্যান্য প্রসেসর তো জেগে আছে। সেগুলো একটু কাজ করলে চার্জ হয়ে যায় আবার ৯৯% তখন আবার চার্জ শুরু হয় এবং আবার ১০০% হয়। এটা সারা রাত কিন্তু বার বার হতে থাকে। এর ফলে আপনার ফোনের ব্যাটারির বড় একটি ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই আপন রাতে কখনো ঘুম থেকে উঠে যদি পারেন তো ফোন চার্জ থেকে খুলে রাখবেন। সেটা ১০০% না হলেও প্রয়োজন এ সকালে উঠে আবার চার্জ দিবেন।
সফটওয়্যার আপডেট
অবশ্যই ফোনের সফটওয়্যার আপডেট প্রতিনিয়ত করা উচিত। মানে কোনো এপ্লিকেশন এর কোনো নতুন আপডেট আসলেই সেটা করে নিবেন। আমাদের ফোন কোম্পানি নিয়মিত আপডেট দিয়েই ফোন টি লঞ্চ করবে। সেটা না করলে কি হবে সেদিকে যাচ্ছি না। কিন্তু ফোনের কোনো আপডেট ইনফো পেলে সেটা অবশ্যই করে নিবেন। এতে আপনার ফোনের আয়ু বাড়বে, হেলথ ভালো থাকবে।
ফোনের র্যাম ও স্টোরেজ
ফোনের র্যাম এবং স্টোরেজ সব সময় ফাকা রাখার চেষ্টা করবেন। ফোনে কোনো আজেবাজে আপস/গেমস রাখবেন না। যথা সম্ভব ফোনের স্টোরেজ ফাকা রাখবেন। কিন্তু আপনার ফোনে কখনো স্টোরেজ ক্লিনার, ক্যাস ক্লিনার এপ ব্যবহার করবেন না। আপনার হাতে যেটা আছে সেটা স্মার্ট ফোন, সে বোঝে আপনার ফোনে কতটা স্টোরেজ/ডাটা রাখার দরকার। তাকে তার মতো কাজ করতে দিবেন। এসব আজে বাজে এপ রাখবেন না। এতে করে কি হবে? আপনার ফোনের ব্যাটারির উপর চাপ পড়বে এতে করে। এবং আপনার ফোনের ব্যাটারি খুব তাড়াতাড়ি ড্যামেজ হয়ে যাবে।
গেমিং
আমরা জানি ফোন বেশি দিন ব্যাবহার করার জন্য ফোন কম ব্যবহার করা দরকার। তাহলে ফোন কিনে কি লাভ? আপনি ব্যাবহার করুন। আপনার ইচ্ছা মতো করুন। কিন্তু যে সময় আপনার প্রয়োজন নেই সেই সময় ফোন কে একটু রেস্ট দিন অনেকে কি করেন? ফোন টি তে হাই গ্রাফিক্স এ গেম খেলেন। কিন্তু অনেক সময় এটা দরকার হয় না। গেম হাই গ্রাফিক্স এ খেলুন আর মিডিয়াম বা লো গ্রাফিক্স এ খেলুন এতে কিন্তু বেশি একটা গ্রাফিক্স এর সমস্যা হয় না। কিন্তু আপনার ফোনে যদি আপনি কম গ্র্যাফিক্স এ গেম খেলেন এতে আপনার ফোনের উপর ট্রেস কম পড়বে। এবং ফোন বেশি দিন টিকবে।
তো বন্ধুরা আপনারা যদি এই জিনিস গুলো ফলো করেন তাহলে আপনার ফোন টি অনেক বেশি দিন টিকবে। তো বন্ধুরা পোস্ট টি ভালো লাগলে অবশ্যই সেটা কমেন্ট করে যানাবেন।
The post স্মার্টফোন ভালো রাখার কয়েকটি কৌশল appeared first on Trickbd.com.
from Trickbd.com https://ift.tt/i2qtLfn
via IFTTT
Emoticon