BLANTERVIO103

ডায়রিয়া, আমাশয় ও অন্যান্য কিছু পানিবাহিত রোগের লক্ষণসহ বিস্তারিত

ডায়রিয়া, আমাশয় ও অন্যান্য কিছু পানিবাহিত রোগের লক্ষণসহ বিস্তারিত
Saturday, April 9, 2022

আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।

অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদেরকে ডায়রিয়া ও আমাশয়ের মতো পানিবাহিত রোগ সম্পকে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছি । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।

পানিবাহিত রোগ হলো
সে সকল রোগ যা
জীবাণুযুক্ত দূষিত
পানির মাধ্যমে
বিস্তার লাভ করে।
যেমন- ডায়রিয়া,

পানিবাহিত রোগঃ
কলেরা, আমাশয়,
জন্ডিস এবং টাইফয়েড
ইত্যাদি।

পানিবাহিত রোগের
লক্ষণঃ-

ডায়রিয়া রোগের
লক্ষণঃ
বারবার পাতলা পায়খানা হওয়া।
ঘন ঘন বমি হওয়া।
খুব পানির পিপাসা লাগা, মুখ ও জিহবা শুকিয়ে যাওয়া।
চোখ ভিতরে ঢুকে যাওয়া।ধীরে ধীরে রোগীর নিস্তেজ হয়ে যাওয়া।

টাইফয়েড রোগের
লক্ষণঃ

জ্বর একেবারে ছাড়ে না, দিনে দিনে জ্বর বাড়তে থাকে।
জ্বরের সাথে মাথাব্যথা, পেটব্যথা ও ঘাম হয়।
শুরুতে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে। পরে পেট ফাঁপা ও ঘন ঘন পাতলা পায়খানা শুরু হয়।

আমাশয় রোগের
লক্ষণঃ

হালকা জ্বরের সাথে বারবার মলত্যাগ, মলে আম মিশ্রিত থাকে।
তলপেটে ব্যথা হয়।
অনেক সময় মলের সাথে রক্ত যায়।

জন্ডিসের লক্ষণঃ
খেতে ভালো লাগে না, খাবারের গন্ধে বমি আসে।
শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
বমি বমি ভাব হয়।
পাতলা পায়খানা হয় এবং পায়খানার রং সাদা হয়।
প্রস্রাবের রং হলুদ হয়।
মাথাব্যথা ও শীত শীত মনে হয়।

পানিবাহিত রোগের
বিস্তারের কারণঃ
ডায়রিয়া রোগের
বিস্তারের কারণঃ

ডায়রিয়া জীবাণু দ্বারা দূষিত পানি পান করলে।
বাসি, পচা, নোংরা খাবার খেলে।
অপরিচ্ছন্ন থালাবাটি ব্যবহার করলে।
হাত সাবান দিয়ে না ধুয়ে খাবার খেলে।

টাইফয়েড রোগের
বিস্তারের কারণঃ
পানিতে এ রোগের জীবাণু থাকলে।
এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশন করলে।
খাবার আগে সাবান দিয়ে হাত না ধুলে।

আমাশয় রোগের
বিস্তারের কারণঃ

নোংরা, পচা, বাসি ও খোলা খাবার খেলে।
অনিরাপদ পানি পান করলে।
স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার না করলে।
খাবার আগে হাত সাবান দিয়ে না ধোয়া।

পানিবাহিত রোগ
প্রতিরোধঃ

পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের ভাল একটি উপায় হল পানিতে জীবাণুর বিস্তার রোধ করা।
পানিবাহিত রোগীর মলমূত্র পানিতে না ফেলা।
আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহার্য জিনিসপত্র পানিতে না ধোয়া।

যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ও মলমূত্র ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকা। কারণ বৃষ্টির সময় উক্ত ময়লা আবর্জনা ও মলমূত্র পানিতে গিয়ে পানি দূষিত হয়।

খাবার আগে এবং পায়খানা ব্যবহারের পরে ভালো করে হাত ধোয়া।

পানি ফুটিয়ে পান করা।

সর্বোপরি স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাটিন ব্যবহার করা।

The post ডায়রিয়া, আমাশয় ও অন্যান্য কিছু পানিবাহিত রোগের লক্ষণসহ বিস্তারিত appeared first on Trickbd.com.



from Trickbd.com https://ift.tt/DZ2h9m0
via IFTTT
Share This Article :
Protiva

TAMBAHKAN KOMENTAR

3621301750812344269