BLANTERVIO103

পড়ে নিন অনন্ত বিষাদগাথা বইয়ের শেষ গল্প [বিষন্নতা আমার ভয়]

পড়ে নিন অনন্ত বিষাদগাথা বইয়ের শেষ গল্প [বিষন্নতা আমার ভয়]
Saturday, May 28, 2022

Hello what’s up guys কেমন আছেন সবাই ? আশা করি ভালো আছেন । সবাইকে স্বাগতম আজকের একটি নতুন পোস্টে । টাইটেল আর thumbnail দেখে already বুঝে গেছেন আজকের টপিক কি । তাই বেশি কথা না বলে আজকের পোষ্ট শুরু করা যাক
বিষণ্নতা আমার ভয়
সাদিয়া নোমান তন্বী
রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ
Linguistic Associate, Alate

তৃষ্ণার্ত ল্যাম্পপোস্ট থেকে নিঃসৃত নিয়ন আলো, সদ্য জন্মানো কিছু নিকোটিনের
ধোঁয়া, আমার ঠুনকো মস্তিষ্কের দেয়ালে হোঁচট খেয়ে বেড়ে ওঠা বেয়ারা পৌছে
দিচ্ছে কত ছেঁড়া খামের চিঠি এই প্রাণহীন পরিত্যক্ত শহরে। ডাকপিয়ন নেই,
অপরিচিত শ্রোতা নেই, আমার চেনা স্তব্ধতা নেই এই ধুলো উড়নো রাস্তায়,
আনন্দের বিষাদ নেই, স্বার্থহীন পরিচয় নেই আমাদের মাঝে।
বিধাতা তুমি আছ? কষ্ট হলে এই নিরালংকার সুখকর অবয়ব বহাল রাখব কী
করে? রাত কেটে যাবে আমার বোকা বাক্স, বাঁকা চাঁদ, কুহেলি দেউড়ি, আগাম
নিদারূণ মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে। এস আমার শহরের, উষ্ণ ডানার ভিড়ে । তোমরাও
তো জানো একাকিত্বের বীভৎস চিৎকার কতটা তীব্র। দিনে সমস্তটা মুছে যাবে
গোধূলির এক কাপ দুধ চায়ে, পাখিরা উড়ে ঘুরে ঘুরে ওরা ঘরে ফেরে না,
ফেরিওয়ালা হাঁকে আমার কানে মৃত্যু গীত বাজায় । ভবঘুরে আমি, ঘুরছি প্রতিনিয়ত তোমাদের নগরে। তোমরা ভালো নেই,
তোমাদের তুমি নেই। তোমাদের অচিনপুরির প্রসঙ্গহীন কথাবার্তার শ্রোতা নেই।
সময় বড্ড ধিরস্থির যাবে, ভাবনায় যুক্ত হতে পারে তোমার নিরস অনুভূতি
মূল্যহীন। নদীর মত দুই ধার বেয়ে গড়িয়ে শেষ পর্যন্ত নোনাজলের সাগরে ডুবে
ভালো লাগার কুঁড়েঘর খুঁজতে পারো। খুঁজে নাও বা পেতে পারো। সম্পর্কহীন
নদীগুলোর শেষ প্রান্তে কৃষ্ণচূড়া ঝুকে আছে, তোমার শরীর বেয়ে যেই লাল রং
গড়াচ্ছিল তা এখানে দিব্বি আছে পরিবার বানিয়ে, সুখে আছে। বিষণ্নতা আমার
ভয়। তোমাদের মত আমারও ইচ্ছে হয় সুখের সন্ধানে বেরিয়ে থলে ভর্তি অক্ষয়
সুখ যোগার করে আনি, পরক্ষণে বুঝে উঠতে পারি কেবল আমার জমে থাকা
অনাগত সুখ পাখিদের বলি দিয়ে এলাম। অতঃপর শহরের মানুষগুলো তাদের রঙ
হারায়, মেঘ গুলো আসে। কালো মেঘের দল রোদ মুছে ভয়ার্ত উদ্যান বানায়
সেই উদ্যানে হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা, অনেক অনেক তুমি আর আমি আছে
সেই উদ্যানে, ওরা খুঁজে বেরাচ্ছে এই বিষণ্নতার এক চিমটি অবসান। কে কবে
সুখ খুঁজে সুখ পেয়েছে? সেই উদ্যানে আছে দুঃখ এর হাট, ঝুলি ভর্তি দুঃখ বেচে
কেনা চলছে অবিরত। আসতে পার, দুঃখ কিনে তাদের বন্ধু বানিয়ে পুরনো বন্ধু
‘সুখের’ দেখা পেতে পার, কে কবে সুখ খুঁজে সুখ পেয়েছে?
অবরুদ্ধ চার দেয়াল, মাঝে আটকা পরে আছে সহস্র স্পন্দন, এই আধ খোলা
জানালার বাইরের দৃষ্টির পাল্লা ভার করে ছুটে চলে ধূসর আবেগের পৃথিবী যা
বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত, তোমার আমার সাধারণ দৃষ্টি তা অতিক্রম করতে পারে না,
ওই যে দেখছ গোলাপ হাতে ছেড়া ফ্রক পরা কিশোরী, ভেতরে রক্ত চোষা কীট
প্রতিক্ষণে খুঁড়ে খুঁড়ে খেতে চাইছে তার মলিন মুখের স্নিগ্ধ হাসি। কীটগুলো হার
মেনেছে, মেয়েটি লড়াই করতে পারে। লড়াই করে আজন্মের লাল গোলাপ
ছিনিয়ে নিয়েছে। তোমার শহরে রাত নেমেছে, ইনসমনিয়া আমাদের সাদা খাতার
ভাঁজ খুলে নৌকা বানিয়ে রঙধনুর সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়ে নির্দয় হতে চায়। সেই
রঙধনুর সাতটি রঙ যন্ত্রণা, বেদনা, ব্যাকুলতা, উদ্বেগ, নিশ্চুপ, ঘৃণা, দুঃখ।
তোমার রঙহীন শহরে যোদ্ধার বড্ড অভাব, তুমি কেমন নাগরিক তবে? হাতিয়ার
নেই তোমাদের নগরে দুঃখ জয়ের ভাবনা নেই, তবে প্রশান্তি আশা কর কী করে?
ভয়ংকর যন্ত্রণা আমি পার করেছি, বন্ধুত্ব করেছি ভয়ের ওই নির্বিকারতার সঙ্গে ।
কী দারুণ যন্ত্রণার মৌন আলাপনে নিজেকে খুঁজেছি, পেয়েছি বারেবারে অমৃত
একাকীত্বের বাদ্যযন্ত্র, ওদেরও নিজেদের সুর আছে তাল আছে। আমি ধরতে
পারিনি সে সুর, ব্যর্থ নগরীর বেড়াজালে আটকেছি বটে, হোঁচট খেয়েছি, থেমেছি
আবার চালিয়ে গিয়েছি এই মৌন আলাপন। এই সুন্দর ভবনের দেখা আমি পাইনি বটে, কিন্তু তোমাদের ভবনের নিগূঢ় উদ্ধার করেছি। ধূসর রঙের কাশফুলে
একাকীত্ব, সঙ্গহীনতাকে উড়িয়ে বেড়াতে দেখেছি। তাসের ঘরে আমি আটকেছি,
ভেঙেছি, হেরেছি কতবার তার হিসাব কষে জীবনের নুড়ি পাথরে অস্তিত্বের বিন্দু
মাত্র ছিটে ফোঁটা অনড় রাখতে পারিনি। এত এত গোধূলি পার করে জানলার
কাঁচে কুয়াশা জমে যেই দৃঢ়তার পত্র দিয়েছে ডাকপিয়নটা আর খোলা হয়নি। খাম
দিয়ে নৌকা বানিয়ে ভেসেছি স্বার্থহীন পরিচয়ের আস্তানায় ।
নিভৃতে যতনে রাখা সব সুখ পাখি উড়ে বেড়ায় যত্নে গড়া স্বপ্নের রাজধানীতে,
একত্রিত হয় সব সুখকর মানচিত্র। তাদের আস্তানায় আমাদের নীল সবুজ রঙ
বেরঙের কল্পনা। ওদের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে লড়াই প্রয়োজন। চাঁদের বুড়ির দুঃখ
বেচার হাট থেকে কিছু দুঃখ কিনে তাদের মৌন আলাপনে অংশ নেয়া প্রয়োজন,
নতুন ভোরের আগামের প্রতীক্ষায় কত শত রাতের প্রয়োজন। তোমার আমার
বেঁচে থাকার ভীষণ প্রয়োজন ।
নিকষ আঁধারে থেকে পুরনো কাগজ খুলে স্মৃতিচিহ্ন মুছে, একটা দুটো দাগ কেটে
অবিরত ক্ষতস্থানে অস্থায়ী মলম, নিখুঁত মৃদুহাস্য মুখোশ পরিধানে এ গলি ও গলি
পারাপারে সুরক্ষা পেতে চাওয়া নিষ্পাপ আত্মাগুলো বর্ষা এলেই ছেঁড়া মুখোশ ভেদ
করে শুকতারার কাছে নালিশ জানাতে জানাতে এক পর্যায় ভেঙে পড়ে। ওদের
কুঁড়ে ঘরে হাঁটু জল, নৌকা পারাপারের মাঝি নেই একাই ডুবে মরে আবার বেঁচে
যায় ভোরের রোদে জল শুকিয়ে যায়, জীবন ঘুম ভাঙে ।
শুকনো বকুল ফুলের আস্তানায় কী করে এ ঘুম হারায়, জানে আমাদের
ইনসমনিয়ার শহর, রোজ রাতের হুইসেলে মিথ্যে কথার এলাকায় সত্য সুখের
ছায়া বয়ে যায়, মন খারাপ নগরের নাগরিকদের নীল ঘাসের ছাউনিতে রাস্তা
পারাপার, ভাবছি যাব চলে ওদের আস্তানায়। ব্যাস্ত নদীর কথোপকথন এ কান
দিলে বুঝতে পারি একাকীত্ব এও আছে ভয়ংকর সৌন্দর্য। আমি জিতে হেরেছি
অনেকবার, আবার হেরেও জিতে গেছি তাই তোমাদের হেরে যাওয়াকে জেতার
পদবী দিচ্ছি নিশ্চুপ।
আবেগপ্রবণ এই রক্ত মাংস গড়া দেহে কত শর্তহীন প্রবল দাবী জানিয়েছে তোমার
চার দেয়ালে ছড়িয়ে থাকা একাকীত্বের দু’মুখো দানব যা ছিঁড়ে খাচ্ছে নিউরন এর
সুতোর ভাঁজ। নিয়মিত শুকনো পাতাগুলো ঝরে যাচ্ছে, যাচ্ছে নিয়ে তোমাদের
ধূসর ভার বাতাসে বয়ে, বাতাসে করুণ গন্ধ বিরাজ করে নেক্রপলিস থেকে স্তব্ধ
করা ছিল যা লাশ কাঁটা ঘর এ যত্ন রাখা ছিল গা ছমছম আসক্তি। এসো না বেড়িয়ে আমি এই অমানসিক যন্ত্রণা থেকে, রক্তবর্ণ গোলাপেও আছে কাঁটা,
ভবঘুরে আমায় দেখছ যে এসেছি সব জয় করে। নিজেকে নিয়ে ডুবিয়েছি বুনো
ঘাস গজা ডাঙায়, হেসেছি একলাই ফড়িঙ এর পিঠে স্মৃতিরা খেলে কী সুন্দর
দূরের আকাশের রংধনু যেন নীরবে বেদনা বাতাসে উড়ে, বসন্তের কোকিলে বেজে
ওঠে ওয়ার্ল্ড ম্যাপে বুনে থাকা স্বপ্ন। এ সবই পেয়েছি অগণিত বছর কালো মেঘে
ভেসে বিজলির আঘাতে নিজেকে উৎসর্গ করার পর । অবিচ্ছিন্নবার আঘাত হেনে
অতঃপর ঘুঙুর পায়ে দেবীর মত রথে চড়ে এসেছে প্রজাপতির ডানায় উড়ে
সুখেরা, ঘুমের মাসি এসে চুমু খায় কপালে, চাঁদের দুঃখ বেচারা বুড়ি হাসে আমায়
দেখে। তাই বলছি হারানো প্রয়োজন, হারিয়ে নিজেকে খুঁজে পাওয়া ভীষণ
প্রয়োজন। পালিয়ে নয় মুখোমুখি জীবনের ক্ষত নিভিয়ে এস। এ শহরের রুপালি
পারদে আমাদের ডাইরির পাতা ছিঁড়ে আদরের নৌকো ভাসিয়ে পাখির ডানায় ভর
করে যাব বহুদূর।
বিষণ্নতা আমার ভয়, নিজ চোখে দেখেছি শকুনের মত কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে এ
শহরের বাতি নেভানো ঘরে একাকী থাকা মানবদের। প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছি দর্শকদের
ওরা কেন একা? এ বিষণ্নতা কি ছোটো না বড় তুমি জানো কী করে? তবে হাসছ
কেন ওদের উপর? ওদের রক্তাক্ত মনে দাগ কেটেছে না কভু শুনেছ, না হাত
দিয়ে ছুঁয়েছে এ ভারের বোঝা যারা একাকী সয়, তোমাদের কাছে হাস্যপাত্র হতে
চাইনি, একাকী দল বেঁধেছে অজানা আগামীর জোনাকিদের সঙ্গ করে, ওদের ধ্রুব
তারাগুলোও ধরা ছোঁয়ার খুব বেশি দূরে। দুঃখ মাপা যায় কি? দুঃখ মাপার
দাঁড়িপাল্লা এসেছে বাজারে, বিজ্ঞান আনতে পেরেছে? আমাদের পৃথিবীতে জন্ম
নেইনি স্বার্থহীন পরিচয়ের। স্বার্থহীন শ্রোতার বড্ড অভাব আমাদের এই অহেতুক
ভিড়ের রাস্তায় । হুট করে পাওয়া যায় এমন শ্রোতাদের, জন্মেছে কেবল তোমাদের
হাহাকারের হাঁক শুনতে। কজনার সময় হয় স্বার্থহীন ভাবে রোজ রাত কথা শুনে
এক অসুস্থ আত্মাকে সুস্থ করে তোলার, ওদের নিজেদের শুশ্রুষা এরা নিজেই দেয়
বটে। কারণ এ শহরে স্বার্থহীন পরিচয়ের খুব বেশি অভাব। ওরা খুঁজে না মৃত
বাড়িতে ছেঁড়া লাশের গন্ধ, ওরা ছড়িয়েছে সুবাস সে ঘরের বারান্দায়। এসে এক
পলকে তোমাদের ঘা ছুঁয়ে দিয়েছে উষ্ণ বেদনা। চিকচিকে বালিতে দু’ফোঁটা জল
গড়িয়েছে আলাপনে এরপর তো কত শত হাসি খেলা একসাথে।
দাবার গুটিতে ছক্কা হাঁকিয়েছে কে কবে? দুঃখ না ছুঁয়ে দুঃখ মেপে দেখে কে
কবে পেরেছে অসুস্থ আত্মার নিকটত্ব পেতে? ওতেও আছে মলিন সুখ, কাছাকাছি
থাকতে পারার সুখ।
অসীমতায় দূরে থাকা কালো মেঘের ঝাক। যারা দাবি করে তাদের কোন গল্প
নেই, ওরা জানে মানুষগুলোর কাছে দুঃখ মাপার যন্ত্র আছে, সেই যন্ত্র দিয়ে মেপে ওরা পরিমাণ বুঝে সমবেদনা জানাবে কিংবা রসিকতা করবে, কে কবে জড়িয়েছে
তাদের, হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন গুনেছে আপন ক্যালকুটারে মান বসিয়ে, রক্তের চেয়ে
পজেটিভ এই মানুষগুলোর সাজানো অন্তঃস্থ ঘর। ওদের ঘরের দরজায় কোন তালা
থাকে না, দেয়ালে আটকিয়ে রাখে শতাব্দীর পুরনো স্টপ ওয়াচ, অসুস্থ আত্মা
পেলেই থামিয়ে দেয় সময়, ওদের রঙিন ঘরে মধুর আবেদন প্রত্যাখানের সাধ্য
থাকে কি কোন মানবীর? বাতিঘরে দুজনা বসে জানাবে কতটা প্রয়োজনীয়
আমাদের শব্দ, নিয়ন আলোয় চোখের কোনে বাষ্প জমা কতটা প্রয়োজন,
শকুনের আস্তানায় একা থাকা ভয়ঙ্কর ওরা জানে, গাঁদা এই জীবন্ত ক্ষতের মলম
নিয়ে প্রতীক্ষা অসাধ্য নয়, দরজায় কড়া নাড়লে যেই দরজা সময় মত খোলে না
তা ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই নয়। সুখ বড়ই অদ্ভুত জিনিস, একাকী থেকে তা অর্জন
মুশকিল। সুখ পেতে হয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাখির ডানায় ভর করে দূরের লালচে
আকাশে, যে পারে গোধূলি এসে ঝুঁকে পরে বন রাজার কোলে, যেখানে হাহাকার
শোনা যায় না, যাবে কী করে? হারমোনিকার সুরে সেই হাহাকারের পরাজায় ঘটে
যায় নিভিয়ে দেয় এ অরণ্যের সকল দুরাশা বাঁচার জন্যে যেই যুদ্ধ তারও প্রয়োজন
অস্ত্র । যেখানে সময় এসে থামে না, অহেতুক ভিড়ে বালুগুলোর চাকচিক্যে ডুবে
থাকে পূর্ণিমা, জ্যোৎস্নার অমৃত আলোরা মৃত যেই ছাদে, নিকৃষ্ট সে স্থান। চিরদিন
কেউ থাকে না সাথে, স্রোতেরও আসে দিক পরিবর্তন। নদী পাড়ে বসে অল্প কিছু
গল্পের সন্ধ্যা, পড়ন্ত বিকেলের ডুবে যাওয়া সূর্য এসবই অমর নয়, এই দৃশ্যগুলো
অমর। দৃশ্যগুলো সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে পারে না, ঠায় জায়গা করে নিতে পারে
কেবল, মনের শূন্য ঘরে গহীন কোথাও বালুচরে।
দূর পাহাড়ে, যেখানে রংধনু এসে নুয়ে পরে। আমাদের ভাঙা কুঁড়েঘরে রঙিন
কাগজ দিয়ে বুনো শত স্বপ্ন আছে। জোনাকিদের মিটি মিটি সোনালি আলো জ্বলে
যেখানে আমাদের ইচ্ছে, আশারা সেখানে বাসা বেঁধে আছে। সেই পাহাড়ের
চূড়ায় পৌঁছুতে প্রয়োজন কেবল ভোরের। শত প্রতীক্ষার পর, দীর্ঘ আলাপনের
পর, ঘড়ির কাঁটা যখন নিয়মিত চলতে শুরু করে, অতঃপর সুস্থ আত্মা নিয়ে
সাজানো নগরীতে সুন্দর দেহে সুস্থ শহরে দেখা হবে আমাদের রাস্তার মোরে
চায়ের কাপ হাতে কোন এক বৃষ্টির দিনে স্বাগত জানাব। বলব ‘কে কবে সুখ খুঁজে
সুখ পেয়েছে?’
ভালো থাকুক সকল দুঃখগুলো, তোলা থাকুক আমাদের আলাপনগুলো ।

তো আজকে এই পর্যন্তই । মানুষ মাত্রই ভুল হয় । তাই ভুল হলে ক্ষমা করে দিয়েন । আশা করি পোস্টটি সবার ভালো লেগেছে । কোনো কিছু না বুঝতে পারলে কমেন্টে জানান । আপনি চাইলে এই লিংক এ ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে join করতে পারেন । আর যেকোনো প্রয়োজনে ফেসবুকে আমার সাথে যোগাযোগ করবেন ।

The post পড়ে নিন অনন্ত বিষাদগাথা বইয়ের শেষ গল্প [বিষন্নতা আমার ভয়] appeared first on Trickbd.com.



from Trickbd.com https://ift.tt/2p4SfXx
via IFTTT
Share This Article :
Protiva

TAMBAHKAN KOMENTAR

3621301750812344269